তিন দফা তারিখ পেছানের পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হবে বুধবার।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় অনলাইন বদলির পাইলটিং কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং আগামী বুধবার মন্ত্রী মহোদয় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় উদ্বোধন করবেন। এ সময় উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ তিন মাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করা হয়। তবে করোনার কারণে বদলি কার্যক্রম প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর ১৩ জুন এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবরের আদেশে শিক্ষক বদলি বন্ধ করেছিল অধিদফতর। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবরের আদেশ বাতিল করা হলো।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়। সেই সময় ২০২০ সাল থেকে অনলাইন শিক্ষক বদলির ঘোষণা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনলাইনে বদলি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
যেভাবে অনলাইনে আবেদন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইএমডি বিভাগ থেকে বলা হয়, শিক্ষকরা তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে ওটিপি অথেনটিকেশনের মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস)-এ প্রবেশ করে বদলির আবেদন করবেন।
পরে আন্ত-উপজেলা, আন্তজেলা, আন্তবিভাগ, আন্তসিটি করপোরেশন এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র,বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংযুক্ত করবেন।
সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং মোবাইলে নোটিফিকেশন পাবেন। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রসর হতে থাকবে এবং কোনো ধাপে অতিরিক্ত সময় লাগবে না। সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে। এরপর যেকোনো সময় শিক্ষকরা পিন ব্যবহার করে লগইন করে যেকোনো সময় আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন।