বিভিন্ন গবেষণায় একে অপরকে সহযোগিতা করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
এতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মধ্যে ল্যাব সুবিধাসহ নানা ধরনের গবেষণায় উপকৃত হবে।
সোমবার দুপুর ১২টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমঝোতা চুক্তি হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, দুই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তি, জিন প্রকৌশল, কৃষি প্রযুক্তি এবং জিনোমিকের বিভিন্ন শাখার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকরা গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
এ ছাড়া প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান; জার্নালের আদান-প্রদানে; যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সের আয়োজন; উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ কর্মসম্পাদন; উভয় প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট অত্যাধুনিক গবেষণাগার ব্যবহার; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মাঝে নিয়মিত পরিদর্শন; যৌথ প্রকাশনা ও যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলের পেটেন্ট প্রক্রিয়াকরণ এবং যৌথ উদ্দেশ্য অর্জনে যেকোনো সহযোগিতা করবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহজাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চুক্তির আওতায় আমরা ল্যাব সুবিধা পাব। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যেসব ল্যাব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কিন্তু ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে সেই সুবিধাটুকু আমরা পাব। তারাও একই সুবিধা ভোগ করবে। তবে খরচ থাকবেই। হয়তো চুক্তি হয়েছে তাই পরিমাণটা কিছুটা কম হবে। কেননা ল্যাব সামগ্রীর ব্যয় রয়েছে।’