ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে শীর্ষ তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শীর্ষ তিনজনের দুইজনই মেয়ে।
তাদের দুইজনেরই ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ভবনে।
আর প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের নাহনুল কবির নুয়েল। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া দুই নারী শিক্ষার্থী হলেন, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের তাবিয়া তাসনিম এবং মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবরিন আক্তার কেয়া।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়া নাহনুল কবির নুয়েল সর্বমোট ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯৬.৫।
এমসিকিউতে বাংলা বিষয়ে পেয়েছেন ১১.৫০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছেন ২৪ নম্বর। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় পেয়েছেন ১১.৫০ আর ইংরেজিতে ১৪.৫০ পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬.৫ নম্বর পেয়েছেন।
দ্বিতীয় হওয়া তাবিয়া তাসনিম ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৯৬.২৫ নম্বর।
তিনি নৈর্ব্যক্তিক অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১৩.৭৫, ইংরেজিতে ১৫ আর সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছেন ২১.৫০ নম্বর।
লিখিত অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১১ আর ইংরেজিতে পেয়েছেন ১৫ নম্বর।
আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ থাকায় তিনি সম্পূর্ণ ২০ নম্বরই পেয়েছেন।
তৃতীয় স্থান অর্জন করা সাবরিন আক্তার কেয়াও ১২০ নম্বরের মধ্যে ৯৬.২৫ নম্বর পেয়েছেন।
কেয়া নৈর্ব্যক্তিক অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১২.৫০, ইংরেজিতে ১৫ আর সাধারণ জ্ঞান অংশে ২২.২৫ নম্বর পেয়েছেন।
লিখিত অংশের বাংলায় ৯.৫০ আর ইংরেজিতে ১৭ নম্বর পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কেয়ারও জিপিএ ফাইভ থাকায় তিনি ২০ নম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নম্বরই পেয়েছেন।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীর সমান নম্বর পাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নীতিমালার আলোকে গড় নম্বর একই হলেও দুটি বিষয়ে নম্বর বেশি পাওয়ার ভিত্তিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করেন।
‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯০.১৩ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছে।