বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহশিক্ষা কার্যক্রম কর্মজীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে : শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ২০:০৭

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত বেশি ক্রীড়া-সংস্কৃতি, বইপড়া ও সহশিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, শিক্ষার্থীদের তত বেশি অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে।’

পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম কর্মজীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোই কর্মজীবনে কাজে আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করবে। সহশিক্ষা শুধু মেধার বিকাশ ঘটায় না, সামাজিক মূল্যবোধেও দক্ষ করে তোলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যত বেশি ক্রীড়া-সংস্কৃতি, বইপড়া ও সহশিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, শিক্ষার্থীরা তত বেশি সামাজিক ব্যাধি, মাদক, অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকবে। এসব প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করেছে, তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও কিছু না কিছু শিখেছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ এর জাতীয় পর্যায়ের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমদ এবং আরও অনেকে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত বেশি ক্রীড়া-সংস্কৃতি, বইপড়া ও সহশিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, শিক্ষার্থীদের তত বেশি অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সকল প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করে তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও কিছু না কিছু শেখে যা কর্মজীবনে পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজে লাগে। এতে শিক্ষার গুণগতমানও বাড়ে।’

‘এবারের শিক্ষাসপ্তাহের পুরষ্কারপ্রাপ্তদের বেশিরভাগ ঢাকার বাইরের। প্রতিভা কোনো নিদিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। আজকের ফলাফল সেটাই প্রমাণ করে।’ উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক গতানুগতিক শিক্ষার গন্ডির বাইরে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, দক্ষতা ও বাস্তব ভিত্তিক শিক্ষা দিতে হবে। শ্রেণী কক্ষের দক্ষতা কর্মজীবনে খুব একটা কাজে আসে না। কর্মজীবনে মূলত কাজে আসে ক্লাসের বাইরের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অর্জনগুলো।’

‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, জাতির পিতার যে দর্শন ছিল 'এপ্লাইড স্কিল, এপ্লাইড নলেজ, বিজ্ঞান মনস্কতা' এগুলো আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ও কারিকুলামে নিয়ে আসা। আমাদের শিক্ষকমণ্ডলীকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আগামী প্রজন্মকে এসব দক্ষতা অনুযায়ী শিখিয়ে নলেজ ইকোনমিতে প্রস্তুত করা। সেই নলেজ ইকোনমিকতে সবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।’

শিক্ষকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০০৬ সালের মোট বাজেটের থেকেও ২১ হাজার কোটি টাকা বেশি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেও শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়ে চলছে। এই বিনোয়োগকে সুষ্ঠ ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত সকল পর্যায়ে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে খরচ করতে হবে।’

সচিব কামাল হোসেন বলেন, ‘আলোকিত মানুষ হতে হলে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই, খেলাধুলাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে হবে। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা মোবাইল-ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল গেমে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে। যা জাতির জন্য অশুভ ইঙ্গিত। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর