দেশের যেসব এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার পানি উঠেছে সেগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জলমগ্ন হয়ে আছে। বাস্তবতার নিরিখে এ সব জলমগ্ন বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব নয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেগুলোতে শ্রেণি পাঠদান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়, জলমগ্ন বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি পাঠদান স্থগিত থাকলেও শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং বিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বন্যাকবলিত এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয়া হয় অফিস আদেশে।
বলা হয়, বন্যাকবলিত এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন মাঠপর্যায়ের শিক্ষকসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করাসহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তা করবেন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ১২২ বছরের ইতিহাসে এমন বন্যা দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ। ইতোমধ্যে সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।