বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব স্কুলে হচ্ছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ১৯:৫৪

মাউশি মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমকে বেগবান করতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা কার্যক্রম স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবা সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠন করা হচ্ছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব। দেশব্যাপী কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক নেহাল আহমেদের সই করা অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা যায়। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ক্লাব গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মাউশি মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছাত্রীদের আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এ কার্যক্রমকে বেগবান করতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা কার্যক্রম স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবা সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি থেকে ছয়জন করে মোট ৩০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার থেকে পাঁচজন করে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করতে হবে।

বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন হলে ৩০ জন সদস্যের অর্ধেক মেয়ে এবং অর্ধেক ছেলে হতে হবে। ক্লাব পরিচালনার জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে সম্ভব হলে দুজনকে (একজন মেয়ে ও একজন ছেলে) ক্লাব লিডার নির্বাচন করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্লাবের সদস্যদের সহায়তার জন্য প্রধান শিক্ষক দুজন গাইড শিক্ষক (একজন মহিলা ও একজন পুরুষ শিক্ষক) নির্বাচন করবেন। গাইড শিক্ষকরা ক্লাবের দেখভাল করবেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ অ্যাপস এবং গাইডলাইন উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে দেশের এক লাখ শিক্ষককে এ বিষয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে দেশের নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ২০ কোটি আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আর্থিক সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

এ বিভাগের আরো খবর