রাজধানীর পূর্বাচলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) অত্যাধুনিক সুবিধাসংবলিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
নির্মাণাধীন স্মার্ট ক্যাম্পাসকে আইকনিক উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এটি হবে আগামী প্রজন্মের আধুনিক ক্যাম্পাস।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বৃহস্পতিবার সিইউবি অডিটরিয়ামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিবিএর শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্থায়ী ক্যাম্পাসের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ড. নাফিজ সরাফাত বলেন, সেখানে সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, স্কোয়াশ কোর্ট ও অন্যান্য খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি হবে আগামী প্রজন্মের ক্যাম্পাস।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিইউবির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আপনারা এমন প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছেন, যা স্বপ্নপূরণে সহায়তা করবে।’
সিইউবির শিক্ষকদের বিশ্বমানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে নর্থ আমেরিকার শিক্ষা কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ল্যাবরেটরি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নিয়ে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টি শতভাগ। বিদ্যুৎকেন্দ্র, ব্যাংক, আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন, সংবাদমাধ্যমসহ ৪০টির বেশি কোম্পানিতে চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের অ্যালামনাইরা প্রাধান্য পান।’
সিইউবি অডিটরিয়ামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিবিএর শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: নিউজবাংলাঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিইউবির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চুয়াল ডিন প্যাট্রিক জোসেফ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সিইউবিকে বাংলাদেশের সুপরিচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অভিহিত করেন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চুয়াল ডিন প্যাট্রিক জোসেফ।
তিনি বলেন, ‘জীবনে শেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়টা আসলে বিশেষ সময়। চমৎকার অধ্যাপক রয়েছে আপনাদের। এ ছাড়া এখানে বুদ্ধি বিকাশের পরিবেশ আছে; অ্যাকাডেমিক গবেষণা রয়েছে।’
এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। শিক্ষার্থীরা মূলত বিদেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নের সুযোগের বিষয়ে জানতে চান। এ বিষয়ে ভার্চুয়াল ডিন তাদের নানা ধরনের পরামর্শ দেন।
বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিইউবির উপাচার্য অধ্যাপক জহিরুল হক বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করলে খুব ভালো ভবিষ্যৎ দেখতে পাবেন আপনারা।’
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. শাহরুখ আদনান খান এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এস এম আরিফুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কুল অফ বিজনেস-এর লেকচারার তাহসিন বিনতে আনিস।