বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, ৭ দিন পরেই খুলবে চুয়েট

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ০০:৩৮

‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শুরুতে ঈদের বন্ধসহ মিলিয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বিকেল ৪টার দিকে সবাই বসে কথা বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।’

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হওয়া চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।

১৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে চুয়েট বন্ধ থাকবে ২১ জুন পর্যন্ত। এক সপ্তাহ পর থেকেই চুয়েটে ফের শুরু হবে ক্লাস-পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শুরুতে ঈদের বন্ধসহ মিলিয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বিকেল ৪টার দিকে সবাই বসে কথা বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

‘২১ জুন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা ও হল বন্ধ থাকবে। ২২ তারিখ থেকে সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।’

ঘটনার প্রেক্ষাপট

ঘটনার শুরু শনিবার রাতে। সেই রাতে শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া রাত ৯টার বাসকে ঘিরে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় দুই পক্ষের। শহর থেকে ফিরে দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরদিন হয় সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষে আহত হন দুজন।

চুয়েট ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইফফাত হক নিশান সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী। তিনি বলেন, ‘শুক্র-শনিবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শুধু দুটো বাস চলাচল করে শহরে। শনিবার রাত ৯টার বাস শহর থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়তে বলেছিলেন নওফেল ভাইয়ের অনুসারী চুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন।

‘তখন সাধারণ শিক্ষার্থী দিয়ে বাস পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বাসে ছাত্রীরাও ছিল। বাসে থাকা সবাই প্রতিবাদ করায় ঠিক সময়ে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার রেশেই ওইদিন সারা রাত ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের ইট মারামারি চলে। পরদিনও সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ত্রিপল ই ও মেকানিক্যালের দুজন শিক্ষার্থী আহত হন।’

নিশান বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) যেটা হয়েছে, কুদরত ই খোদা হল থেকে হলুদ হেলমেট পরা একদল ছেলে সকাল থেকে অস্ত্রসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। তারা প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থী ও টিচারদের নিয়ে আসতে যে বাসগুলো শহরে যায়, সেগুলো ক্যাম্পাস থেকে বের হতে দেয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়তো ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি আনাস মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে নিহতদের স্মরণে শহরে একটা মিলাদের আয়োজন করেছিলাম আমরা। ওই সময় রাত ৯টার বাস শহর থেকে যাওয়ার সময় আমরা স্যারকে বলেছিলাম, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে আমরাও একসঙ্গে চলে যেতে পারব।

‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেপেলে ঝামেলা করলে বাস চলে যায়। পরে স্যার আমাদের আরেকটি বাস ঠিক করে দিয়েছিলেন। এরপর ক্যাম্পাসে গেলে দেখি বহিরাগত কিছু ছেলে আমাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিচ্ছে না। দফায় দফায় আমাদের ওপর হামলা করছে।’

মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে শোডাউনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শোডাউনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসে তো সিসিটিভি আছে, তদন্ত কমিটি করছে, কমিটি এটা দেখবে প্রয়োজনে।’

মঙ্গলবার দুপুরে ঈদের ছুটিসহ ১৪ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফারুক উজ-জামান চৌধুরী বলেন, ‘সোমবারের ঝামেলাসহ সব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। আমাদের স্নাতকোত্তরের কোনো শিক্ষার্থী হলে নেই এখন। তাই তাদের জন্য হল বন্ধ হলে খুব একটা সমস্যা হবে না। তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর