প্রাথমিকের প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ সহজ করতে উদ্বোধন হয়েছে নতুন প্রকল্প ‘এসো শিখি’। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান জোরালো করতেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএইড যৌথভাবে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএইড যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে ‘এসো শিখি’ প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীর মেধা, মনন ও চেতনার বিকাশে মাতৃভাষার ভূমিকা বিশাল, বিরাট এবং ব্যাপক। মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার ভিত নির্মাণ করা যায় না। তাই শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও সাবলীলভাবে জ্ঞানার্জনে মাতৃভাষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
‘মাতৃভাষার গাঁথুনি শক্ত ও দৃঢ় হলে এর ওপর ভর করে অন্য ভাষা শেখাও সহজে সম্ভব হবে। তখন যেকোনো ভাষায় রচিত ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞানের গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের পরিধি বিস্তৃত করা যাবে। এ জন্য সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিশুদের মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।’
নতুন প্রকল্পটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে বলে সচিব মনে করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি স্টিভেনস।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। যার মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ হাজার বিদ্যালয়ে ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মাতৃভাষার মাধ্যমে কার্যকর শিখন পদ্ধতির সক্ষমতা অর্জনে তারা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়া ও শেখার দক্ষতা অর্জন করবে বিশেষ এ প্রকল্পের মাধ্যমে।