ভাষার সহজিকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘যে ভাষা যত সহজে বোধগম্য ও উপস্থাপন করা যাবে, তা তত টেকসই হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিশ্বায়নের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিদেশি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ইনিস্টিটিউট।
সেমিনারের আগে উপাচার্য ইনস্টিটিউট চত্বরে ২২টি ভাষা সম্বলিত ‘বহুভাষিক নামফলক’ উদ্বোধন করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষাসমূহ সহজে অনুধাবন ও অনুশীলনের জন্য গবেষকসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শামীম বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরল হুদা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। সহযোগী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘পৃথিবীতে বহু ভাষা ও নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন ও আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্য বিদেশি ভাষা শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিদেশি ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অনেক আগেই অনুধাবন করেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু তার শিক্ষানীতিতে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিষয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।’
বিদেশি ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য শেখার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সবার প্রতি আহ্বান জানান।