দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা বিতরণ শুরু হচ্ছে।
বুধবার থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ হবে এই অর্থ। এই দফায় ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নগদ-কে চিঠি দেয়া হয়েছে।
নগদ-এর হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স জাহিদুল ইসলাম সজল খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এর ফলে নগদ-এর মাধ্যমে আগের মতোই প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উপবৃত্তি ও ভাতা সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাবে।
সজল বলেন, ভাতা, উপবৃত্তি ও যে কোনো সরকারি সহায়তা বিতরণে নগদ-এর ওপর সব সময়ই সরকার ও গ্রাহকদের বাড়তি আস্থা রয়েছে। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েই নগদ কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প-৩য় পর্যায়ের ২০২০-২১ অর্থ বছরের উপবৃত্তি ও কিটস্ অ্যালাউন্স বাবদ ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে বিতরণ করা হয়নি চুক্তির মেয়াদ না থাকায়।
ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণকারী সংস্থা হিসেবে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ছিল গত বছরের ৩০ জুন। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত বছর ১৩ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চুক্তির খসড়া অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো বন্ধ রাখা হয় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে। তবে নতুন সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা নেন।
গত ২৬ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শিগগিরই শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির অর্থ ও কিটস্ অ্যালাইন্স বাবদ ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হবে।
২০২০ সালে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণের জন্যে দায়িত্ব দিয়ে একটি চুক্তি করে সরকার। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন এবং শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি ডেটাবেজ তৈরি করার মাধ্যমে পরে ২০২১ সালের প্রথম ভাগ থেকেই উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণ শুরু হয়।