দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে ১১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ও তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপ থেকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া পুরুষ শিক্ষক ৭ হাজার ৭০৪ জন এবং নারী ৪ হাজার ৬৫ জন।
রোববার সচিবালয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ ফল ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রকাশিত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ এর আওতায় ১৫ হাজার ১৩৮টি শূন্য পদ এবং ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ সুপারিশের পরও যে সব পদে কেউ যোগ দেননি বা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পাঠাননি এমন শূন্য পদে মোট ১১ হাজার ৭৬৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৭টি আবেদন পাওয়া যায়। তবে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা আট হাজার ৩৫৯ জন।
সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিশেষ বিজ্ঞপ্তি থেকে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে ৪ হাজার ৭৫২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এমপিও পদে ৪ হাজার ১৮৫ এবং নন-এমপিও পদে ৫৬৭ জন। এসব পদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫০৪টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ২৪৮টি পদ রয়েছে।
একই সঙ্গে এনটিআরসিএর তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নির্বাচিত ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে নিয়োগ সুপারিশের পরও যে সব পদে কোনো প্রার্থী যোগ দেননি অথবা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পাঠাননি এমন শূন্য পদে দ্বিতীয় ধাপে ৭ হাজার ১৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এমপিও পদ ৬ হাজার ২০৫টি এবং নন এমপিও পদ ৮১২টি। এসব পদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪ হাজার ৫৩৯টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৪৭৮টি পদ রয়েছে।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্য থেকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিও পদ রয়েছে ৩০ হাজার ৯০৪টি। আর নন-এমপিও পদ ৩ হাজার ১৬৯টি।
সেসময় ৩৪ হাজার ৭৩ শিক্ষকের মধ্যে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫০১ জন। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক পদে ২৪ হাজার ৪১৮, সহকারী মৌলভি পদে ১ হাজার ৫২৮, ইবতেদায়ি মৌলভি পদে ৩৫৫, ট্রেড ইনস্ট্রাকটর পদে ৩৮৯, ইনস্ট্রাক্টর পদে ১০০, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৬, প্রদর্শক পদে ১৯৪, ইবতেদায়ি কারিগরি পদে ৯৩ ও ইবতেদায়ি শিক্ষক পদে ৪৮৯ জন নিয়োগের সুপারিশ পান।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৫ সাল থেকে সনদ দিয়ে আসছিল এনটিআরসিএ, যদিও নিয়োগের ক্ষমতা ছিল গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতির পরিবর্তন আনে সরকার। এর পর থেকে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করছে।