নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ ৩ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ গভর্নিং বডি।
এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিকে অধ্যক্ষকে বরখাস্তের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বর্তমান উপাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে।
শনিবার রাতে কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ ছাড়াও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলীকে ৩ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, এই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুরো খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেয়া হয়েছে তিনিও বিতর্কিত। বরখাস্ত অধ্যক্ষকে ডান হাত তিনি। তাকে আমরা মানি না। অন্য কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেয়ার দাবিতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছি।’
শনিবার রাত ৮টার দিকে টানা ৪ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কলেজে সৃষ্ট এই অচলবস্থা নিরসনে বিকেল ৪টায় জরুরি বৈঠকে বসে গভর্নিং বডি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, অভিভাবক সদস্য কবির আহমদ ভূইয়া, মেজবাউর রহমান রতন, জসীম উদ্দিন আহমদ, আব্দুস সত্তার খন্দকার, শিক্ষক প্রতিনিধি সেগুপ্তা ইসলাম, বজলুর রহমান সাইফুল, মোয়াজ্জেম হোসেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষককে কলেজে অবাঞ্ছিত ও শনিবার থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকালে শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয় শিক্ষার্থীরাও। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরাও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।