ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না এসে বরং সন্তানদের নিজেদের একা একা কেন্দ্রে আসতে দিতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অনুরোধ করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘যখন এই শিক্ষার্থী নিজের কাজ নিজে করতে পারবে, তখন ভবিষ্যতে তার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। নবাগত শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে সে জন্য আমরা অভিভাবক সমাগম পরিহার করতে অনুরোধ করেছিলাম।
‘স্বেচ্ছাসেবক এবং পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারা অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিপুলসংখ্যক অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষী আসছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন দরকার।’
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসছে, তারা এখন যথেষ্ট ম্যাচিউর। সে খুব ভালোভাবে সবকিছু করতে সক্ষম। তার বয়সও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। তাদেরকে কাজ করতে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের খুব জরুরি।’
অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই ছেলেমেয়েদের আমরা একটু ছেড়ে দিই। যখন তারা নিজের মতো কাজ করতে শিখবে, সেটি তাদের বড় প্রশিক্ষণ। এটা তাদের আরও বেশি শক্তিশালী করবে। জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে এটি তাদের অনেক সহায়তা করবে।’
কেন্দ্র পরিদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাই মূলত আমাদের সৌন্দর্য। আমাদের উদ্দেশ্যই একটি প্রতিযোগিতামূলক স্বচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। সেটি গ্রহণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং সেটি যথাযথভাবে চলছে।’
ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোয় প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তারা সব নিয়মনীতির মধ্যে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে।
‘ডিন, আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর আছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থাও তৎপর রয়েছে।’