বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধানমন্ডি আইডিয়াল অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে একাট্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ১২:১১

কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান বলেন, ‘অধ্যক্ষসহ মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের পদত্যাগ দাবিতে আমরা সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কলেজে বিক্ষোভ করছে।’

নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহমেদসহ ৩ শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ক্লাসসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন কলেজের অন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে শুরুতে আন্দোলনে যুক্ত হলেও পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শনিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তারা।

এর আগে শুক্রবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি, অঢেল আর্থিক দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান বলেন, ‘অধ্যক্ষসহ মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের পদত্যাগ দাবিতে আমরা সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কলেজে বিক্ষোভ করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

এদিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের এক পর্যায়ে ক্যাম্পাস থেকে চলে গেলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। জানতে চাইলে কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি, তবে আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।

‘বিকেল ৪টায় গভর্নিং বডির মিটিং আছে। আমরা সেখানেও তাদের পদত্যাগ দাবি করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’

এর আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহমেদ ২০১৭ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পান। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা শুরু হয়।

তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামানসহ আরও কিছু শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মতো চালাচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর