সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এই ধাপে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৩ জন এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৫২টি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় তৃতীয় ধাপে ৩২ জেলায় পরীক্ষা শুরু হয়। এর মধ্যে ১৮ জেলার সব ও ১৪ জেলার বাকি থাকা উপজেলাগুলোয় পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
তৃতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা
তৃতীয় ধাপে যেসব জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হয় সেগুলো হলো জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, মেহেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, কক্সবাজার, ঝালকাঠী, ভোলা, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড় ও সিলেট।
যেসব জেলার কিছু উপজেলায় পরীক্ষা হয় সেগুলো হলো নওগাঁ (আত্রাই, বদলগাছী, ধামুরহাট, মহাদেবপুর, মান্দা), নাটোর (নলডাঙ্গা, সদর, সিংড়া), কুষ্টিয়া (ভেড়ামারা দৌলতপুর, কুমারখালী), ঝিনাইদহ (কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা), সাতক্ষীরা (আশাশুনি, শ্যামনগর, তালা), বাগেরহাট (সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট, রামপাল), জামালপুর (বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী), রাজবাড়ী (বালিয়াকান্দি, সদর), পিরোজপুর (ভাণ্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া), পটুয়াখালী (বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা), সুনামগঞ্জ (ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, ধর্মপাশা), হবিগঞ্জ (আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল, চুনারুঘাট), কুড়িগ্রাম (ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, সদর, নাগেশ্বরী), গাইবান্ধা (সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী)।
গত ১২ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর প্রথম পর্বে ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।