বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি এবং তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার পরও যেসব পদে প্রার্থীরা যোগদান করেননি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (ভি রোল) পাঠাননি, সেসব পদের ফল ৫ জুন প্রকাশ করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানিয়েছে, আগামী ৫ জুন ফল প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিং করবেন মন্ত্রী।’
কত পদে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৫ হাজার ১৬৩টি পদ রয়েছে। আর তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার পরও সেসব পদে প্রার্থীরা যোগদান করেননি এবং ভি রোল পাঠাননি এমন শূন্য পদের সংখ্যা ৭ হাজার ৮০০-এর বেশি।’
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশন পর্যায়ে ১৫ হাজার ১৬৩টি পদে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২০ জানুয়ারি রাতে তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ পদে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
৩৪ হাজার ৭৩ পদের মধ্যে এমপিও পদ রয়েছে ৩০ হাজার ৯০৪টি। আর নন-এমপিও পদ ৩ হাজার ১৬৯টি।
৩৪ হাজার ৭৩ শিক্ষকের মধ্যে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫০১ জন। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক পদে ২৪ হাজার ৪১৮, সহকারী মৌলভি পদে ১ হাজার ৫২৮, ইবতেদায়ি মৌলভি পদে ৩৫৫, ট্রেড ইনস্ট্রাকটর পদে ৩৮৯, ইনস্ট্রাক্টর পদে ১০০, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৬, প্রদর্শক পদে ১৯৪, ইবতেদায়ি কারি পদে ৯৩ ও ইবতেদায়ি শিক্ষক পদে ৪৮৯ জন নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৫ সাল থেকে সনদ দিয়ে আসছিল এনটিআরসিএ, যদিও নিয়োগের ক্ষমতা ছিল গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতির পরিবর্তন আনে সরকার। এর পর থেকে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করছে।