ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ না করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
বুধবার ক্যাম্পাসে কলা ভবন সংলগ্ন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আহ্বান জানান সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনের পক্ষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন অধ্যাপক লুৎফুর রহমান।
দাবিগুলো হলো- ঢাবি ক্যাম্পাসে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার, হামলায় আহত ছাত্র-ছাত্রী ও ছাত্রনেতাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতি সমভাবে সংবেদনশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে সব ছাত্র সংগঠনের জন্য অবাধ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা নেবেন।’
মানববন্ধনে সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরং আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আমরা দেখেছি এই ক্যাম্পাসে নারীর ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। যেটুকু করেছে তাও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। এসব ঘটনায় দেখা যায়, যেসব শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছে তাদের ওপরই মামলা দেয়া হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, কলা অনুষদের আহ্বায়ক মো. আল আমিনসহ সংগঠনটির অন্য অনেকে উপস্থিত ছিলেন।