জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ২২ মে (বিকেল ৪টা থেকে)। যা চলবে আগামী ৯ জুন ( রাত ১১টা ৫৯ মিনিট) পর্যন্ত।
বুধবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব (স্নাতক, সম্মান) অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিনের সই করা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী প্রার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ২৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১১ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ৩ জুলাই থেকে শুরু হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ক) বাংলাদেশে স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে ২০১৮/২০১৯ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ এবং ২০২০/২০২১ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
খ) বাংলাদেশে স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২০১৮/২০১৯ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ এবং ২০২০/২০২১ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
গ) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে শুধুমাত্র এইচএসসি (ভোকেশনাল) এইচএসসি (বিজনেস্ ম্যানেজমেন্ট)/ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদ-১-এর খ নং শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।
ঘ) আবেদনকারীদের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার পঠিত বিষয়গুলো থেকে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য বিষয় নির্ধারণ করা হবে এবং উক্ত পঠিত বিষয়ে (২০০ নম্বরের) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩.০ থাকতে হবে।
ঙ) ২০১৮/২০১৯ সালের ও-লেভেল পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ অন্তত চারটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২০/২০২১ সালের এ-লেভেল পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ অন্তত দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এ ভর্তি কার্যক্রমে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে। এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সরাসরি/ই-মেইলে আবেদনপত্র প্রেরণ করবে। সাদা কাগজে লিখিত আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, পিতা-মাতার নাম, ভর্তিচ্ছু বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও নিবন্ধিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য যে ভর্তিচ্ছু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অধিভুক্ত থাকতে হবে।
চ) বিদেশি সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক তাদের অর্জিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের নম্বরপত্রের সমতা নিরূপণ করা হলে তারাও এ ভর্তি কার্যক্রমে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে। এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সরাসরি/ই-মেইলে আবেদনপত্র প্রেরণ করবে।
সাদা কাগজে লিখিত আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, পিতা-মাতার নাম, ভর্তিচ্ছু বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও নিবন্ধিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য যে ভর্তিচ্ছু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অধিভুক্ত থাকতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর সব পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সমতা নিরুপণের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
ছ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল/স্নাতক (পাস) নিয়মিত/প্রাইভেট কোর্সে বর্তমানে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না। তবে এসব শিক্ষার্থী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিলপূর্বক ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
জ) একই শিক্ষাবর্ষে অথবা দুটি ভিন্ন শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান)/ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল/স্নাতক (পাস) নিয়মিত/প্রাইভেট কোর্সে ভর্তি হলে ভর্তি আবেদন বাতিল হবে।
এক নজরে ভর্তিতথ্য
# আবেদন ফরম পূরণ ও সংগ্রহ: ২২ মে থেকে ০৯ জুন।
# আবেদন ফি জমা: ২৩ মে থেকে ১১ জুন।
# অনলাইনে আবেদন ফরম নিশ্চয়ন: ২৩ মে থেকে ১২ জুন।
# আবেদন ফির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ: এ জন্য কলেজকে Login-এর মাধ্যমে Application Payment Info (Honours) অপশনে ক্লিক করে Pay Slip ডাউনলোড করতে হবে। যা ১৩ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।
গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজারে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ এখন ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ আর বাকিগুলো বেসরকারি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ।