বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ি ফেরত দিলেন সেই প্রকৌশলী

  •    
  • ১৩ মে, ২০২২ ০৮:২২

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রাধিকার ছাড়াই অনেক কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহার নিয়ে নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এক সাবেক কর্মকর্তা গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। অনেক কর্মকর্তা গাড়ি ব্যবহারের পদ্ধতি বদলে ফেলেছেন।

অবশেষে সেই গাড়িটি ফেরত দিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার। ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে (২৮ এপ্রিল) তিনি ইইডির পরিবহন শাখায় ‘পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি বুঝিয়ে দেন।

বুধবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিবহন শাখার একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবহন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী জার্জিস ইউ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িটি অফিস চত্বরে আছে।’

কবে গাড়িটি ফেরত দেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দিতে রাজি হননি। বলেন, ‘গাড়িসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। আপনি দয়া করে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে যোগাযোগ করেন।’

বুলবুল আখতার অবসর নিয়েছেন ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে তার গাড়িটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিবহন শাখায় বুঝিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এতদিন অবৈধভাবে ব্যবহার করছিলেন ‘পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহের কাজ করে থাকে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধা সরবরাহের কাজও তারা করে।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নিউজবাংলায় ‘শিক্ষা প্রকৌশলের গাড়ি ব্যবহারে যথেচ্ছাচার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, যেখানে গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকার নেই, এমন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর শিক্ষা প্রশাসনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকার নেই ইইডির এ রকম একাধিক কর্মকর্তা এখন আর নিয়মিতভাবে সেই সব গাড়ি ব্যবহার করছেন না। গাড়ি ব্যবহার করলেও তা তারা করছেন অফিস সময়ে যাতায়াতের জন্য। এবং যাতায়াত শেষে গাড়িগুলো আবার অফিস প্রাঙ্গণে তাদের গাড়িচালকদের দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতদিন তারা অফিস শেষেও গাড়িগুলো তাদের বাসার গ্যারেজে রাখতেন। কেউ কেউ আবার সেই সব গাড়ি ব্যবহার না করে এখন উবার ও সিএনজিতেও যাতায়াত করছেন।

সূত্র আরও জানায়, রিপোর্ট প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই শিক্ষা প্রকৌশলের ক্ষমতাধর কয়েকজন কর্মকর্তা গাড়ি ব্যবহারে সর্তক হয়ে যান।

ইইডির ‘ক্ষমতাধর’ কর্মকর্তারা গাড়ি ব্যবহারে সর্তক হলেও অন্য দপ্তরের (শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন অন্য দপ্তর এবং পরিকল্পনা কমিশন) কর্মকর্তারা আগের মতোই গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন বলেও জানান ইইডির পরিবহন শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘ইইডির কর্মকর্তারা সতর্ক হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসনের অন্য দপ্তরের ক্ষমতাধর কর্মকর্তারা আগের মতোই গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন। তারা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না।’

এ বিষয়ে জানতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) শাহ্ নইমুল কাদেরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর