দেশ নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশের অনেক কিছু নিয়েই গর্ব করা যায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। বাংলাদেশ অনেক কিছুতেই সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলা, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা—এ রকম আরও ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পথ দেখাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমানের লেখা ‘বাঙালির আশীর্বাদ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মশিউর নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এবং বেরোবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই গর্বের বাংলাদেশ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পথ ধরে এগিয়ে চলেছেন, সে পথই তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিতার দেখানো পথে আজকে আমরা চলছি বলেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা, অবস্থান। একটা আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা নিয়ে বলতে পারি যে, কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ সেই জায়গায় যাওয়ার সঠিক পথে আমরা আছি।’
মশিউর রহমানের বইয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘লেখার ভেতরে ইংরেজি শব্দ অনেক আছে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আসলে আরও ভালো লেখা চাই।
‘কারণ তিনি একজন শিক্ষক। তার কাছে প্রত্যাশাটা বেশি। বইটির নাম সত্যি খুব ভালো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানার চেষ্টা শুরু হয়েছে সাম্প্রতিককালে। বঙ্গবন্ধুর রচিত বইগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আমাদের সে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তার জীবনের দীর্ঘযাত্রা পাঠ করা যায় বইগুলো পাঠ করে।
‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই পাঠযোগ্য নয়। এটি আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘…বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। তার রাজনৈতিক দর্শন, দূরদর্শী পরিকল্পনা, মানুষকে নিয়ে ভাবনা, অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে ভাবনা—এগুলো নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে এখনও আমরা পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারিনি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. হাসিবুর রহমান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ আজম শান্তনু।