বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যাপক সামাদকে রহমতুল্লাহর আইনি নোটিশ

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৩৮

নোটিশে অভিযোগ করা হয়, অধ্যাপক সামাদ তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে অধ্যাপক রহমতুল্লাহর বক্তব্যের প্রকৃত সত্য গোপন করেছেন। তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যা কুৎসা প্রচার করেছেন।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমতুল্লাহ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মু সামাদ। অভিযোগটি প্রমাণ করতে উপ-উপাচার্যকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রহমতুল্লাহ।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল গণী টিটোর মাধ্যমে তিনি এই নোটিশ পাঠান।

এছাড়া অধ্যাপক সামাদের সহায়তায় অধ্যাপক রহমতুল্লাহর সম্পূর্ণ বক্তব্য উল্লেখ না করে ‘খুনি মোশতাকের প্রতি ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির শ্রদ্ধা!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ এনে বির্বাতা টোয়েন্টিফোর ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি এবং প্রতিবেদক মহিউদ্দীন রাসেলকেও নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে আমার মক্কেলের সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করে আপনাদের প্রচারিত এবং প্রকাশিত কথিত অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ করবেন। অন্যথায় আমার মক্কেল আপনাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন এবং এর সব দায় আপনাদের বহন করতে হবে।’

নোটিশে অভিযোগ করা হয়, অধ্যাপক সামাদ তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে রহমতুল্লাহর বক্তব্যের প্রকৃত সত্য গোপন করেছেন। তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যা কুৎসা প্রচার করেছেন।

ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় আমার মক্কেল মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হয়েছিলেন তা উল্লেখ করেন এবং মুজিবনগর সরকারের অন্যতম জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীতে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি তার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

‘আমার মক্কেল ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত সংবলিত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি), তাজউদ্দীন আহমদ (প্রধানমন্ত্রী), মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম উল্লেখ করেন, যেটি দালিলিকভাবে ইতিহাসের স্বীকৃত সত্য।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আমার মক্কেল মূলত ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শীর্ষক আলোচনায় জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এই সঙ্গে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে কুলাঙ্গার হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

‘কিন্তু অধ্যাপক সামাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মনগড়া বক্তব্য সাজিয়ে আমার মক্কেল খন্দকার মোশতাককেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মর্মে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। প্রতিবাদের নামে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন এবং সভায় বক্তব্যের মাধ্যমে উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিকে প্রভাবিত করেন।’

নোটিশে বলা হয়, ‘অধ্যাপক সামাদ তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে বনি ইয়াসমিন হাসি ও মহিউদ্দীন রাসেলের সহায়তায় তাদের অনলাইন পত্রিকায় তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে প্রচার ও প্রকাশ করে আমার মক্কেলের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন।’

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শপথ নেয়। মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই শপথ হওয়ার কারণে দিবসটি মুজিবনগর দিবস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক রহমতুল্লাহ। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হয় তর্ক-বিতর্ক।

সভায় উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সামাদ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। তিনি এই বক্তব্যকে ধৃষ্টতাপূর্ণ উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের প্রতি এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। এরপর উপাচার্য শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘খন্দকার মোশতাকের মতো ব্যক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে না।’

খন্দকার মোশতাককে নিয়ে দেয়া বক্তব্যে এর পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়। অধ্যাপক রহমতুল্লাহ দাবি করেন, তিনি খন্দকার মোশতাককে নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি। মুজিবনগর সরকার নিয়ে কথা বলেছেন, সেখানে মোশতাক একটা অংশ ছিলেন বলে তার নাম উঠে আসে।

এ বিভাগের আরো খবর