প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনাবেচার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরে ১০ পরীক্ষার্থীসহ ১৩ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিতোষী রোডের একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে আটজনকে আটক করা হয়। এরপর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচজনকে আটক করে ডিবি।
আটক ১৩ জন হলেন মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার, সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রিভু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাশার, তাছনিম আক্তার, শারমিন আক্তার, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, রহমত উল্যাহ, জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন।
জেলা পুলিশ সুপার এএইচএম কামরুজ্জামান শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মাহামুদুল হোসাইন, জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষারও ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করেন।
১০ লাখ টাকায় তারা পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করেন। যারা নগদ টাকা দিতে পারেননি তাদের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও বিভিন্ন পরীক্ষা পাসের মূল সনদ নিয়ে রাখেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে। সেই সঙ্গে কয়েকটি ব্ল্যাঙ্ক চেক, পরীক্ষা পাসের মূল সনদ ও আটটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদাত হোসেন টিটু বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে তার সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্রের মিল নেই। এরা একটি প্রতারক চক্র। তাদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’