বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোশতাক ইস্যুতে অধ্যাপক রহমতুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:২৬

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার সদস্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের শপথ নেয়ার দিন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম উচ্চারণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সিন্ডিকেট।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভার সদস্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভার সভাপতিত্ব করেন।

অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক রহমতুল্লাহ তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরপর তাকে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই ঘটনায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সেদিন কী ঘটেছিল সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। এরপর এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শপথ নেয়। মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই শপথ হওয়ার কারণে দিবসটি মুজিবনগর দিবস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

দিবস উপলক্ষে গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক রহমতুল্লাহ। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হয় তর্ক-বিতর্ক।

সভায় উপস্থিত একাধিক অধ্যাপক নিউজবাংলাকে জানান, লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক রহমতুল্লাহ বলেছেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের জাতীয় চার নেতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

সভায় উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সামাদ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। তিনি এই বক্তব্যকে ধৃষ্টতাপূর্ণ উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের প্রতি এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। এরপর উপাচার্য শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘খন্দকার মোশতাকের মতো ব্যক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে না।’

খন্দকার মোশতাককে নিয়ে দেয়া বক্তব্যে এর পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। অধ্যাপক রহমতুল্লাহ দাবি করেন, তিনি খন্দকার মোশতাককে নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি। মুজিবনগর সরকার নিয়ে কথা বলেছেন, সেখানে মোশতাক একটা অংশ ছিলেন বলে তার নাম উঠে আসে।

এ বিভাগের আরো খবর