মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদেরও নাম উল্লেখ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমতুল্লাহর কুশপুতুল পুড়িয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এই কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
অধ্যাপক ড. মো রহমতুল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ তার শাস্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে বহিষ্কারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদার।
আল মামুন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ও বেঈমান খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. রহমতুল্লাহ চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওসহ অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
শাহীন সিকদার বলেন, ‘অধ্যাপক রহমতুল্লাহর বক্তব্য আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কখনোই মেনে নেব না। অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, ঢাবি শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সংগঠনটির নেতারা অধ্যাপক রহমতুল্লাহর কুশপুতুল পোড়ান।