ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সোমবার ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের সই করা অফিস আদেশে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সম্প্রতি কমিশন ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অপ্রতুল শিক্ষক সংখ্যা, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, গবেষণার অনুপস্থিতি, আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি, শিক্ষাসহায়ক ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যবইয়ের অপ্রতুলতা রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদ উত্তীর্ণ।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ১৮ এবং ২০ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষাদান, সব ধরনের পরীক্ষা ও তার ফল অনুমোদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
আইনের ১৭ এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর একাধারে সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি। আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলরের অবর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা ও তার ফলের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত কোনো ভিসি এবং প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই।
রাষ্ট্রপতি ও আচার্য নিযুক্ত উপাচার্যের অবর্তমানে অন্য কারও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভার আইনগত কোনো বৈধতা নেই বলে সেই পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এসব কারণে কমিশন পরে নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।