প্রশাসনের চাপে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এসে রোববার বেলা ১১টার দিকে তিনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানান।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ আগস্ট মাইদুল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মাইদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসনের বাধার মুখে আমি ক্লাস প্রত্যাহার করেছি। গতকাল থেকে মুহুর্মুহু ফোন করে বলা হয় যেন আমি ক্লাসটা না নেই। প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতীকী ক্লাস নেয়ায় কোনো আইনি ঝামেলা নেই। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমার আতঙ্কের জায়গা হচ্ছে এই ক্লাস কিংবা শিক্ষার পুরোটাকে ক্রিমিনালাইজ করা হচ্ছে; শিক্ষার্থীদের ডিমোরালাইজ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, কেউ তাকে বাধা দেয়নি, সেখানে প্রশাসনের কেউ যায়নি। সশরীরে ক্লাস নিলে এখনও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি আছে। দেশে এখনও শতাধিক লোক মারা যাচ্ছে।
‘সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেবে। তাই ছাত্রছাত্রীদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য আমরা তাকে অনুরোধ করেছিলাম সশরীরে না নিয়ে অনলাইনে ক্লাসগুলো শেষ করার।’
চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চিঠিতে আমরা তাকে রিমাইন্ডার দিয়েছিলাম। চবিতে অনলাইন ক্লাস চলমান ও বিভিন্ন বিভাগের অনলাইন ক্লাস প্রায় শেষের দিকে। তার ক্লাস বাকি থাকলে তিনি যেন অনলাইনে ক্লাসগুলো শেষ করেন।’
এদিকে মাইদুল ইসলামকে ক্লাস নিতে না দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।
রোববার দুপুরে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে মাইদুল ইসলামের প্রতি আচরণকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চরিত্র ক্ষুণ্ণের জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছে।