বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনটিআরসিএর নিয়োগের পরও কমেনি শিক্ষকসংকট

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৮:৫৫

৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়।

তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করার পরও বাড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসংকট। এর কারণ হিসেবে চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন নিয়োগ-প্রক্রিয়ার ত্রুটিকে। যদিও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

নিয়োগপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষকসংকটের মূল কারণ প্রতিটি গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীর (যারা আগে নিয়োগ পেয়েছেন) নিয়োগ পাওয়া। এর ব্যতিক্রম হয়নি তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও। অর্থাৎ চাকরিরত শিক্ষকরাই প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ বেশি পাচ্ছেন বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সুপারিশকৃত ৩৮ হাজার ২৮৬ পদের মধ্যে ২২ হাজারের বেশি পদে ইনডেক্সধারীরা সুযোগ পেয়েছেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আগের চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এর ফলে প্রার্থীর আগের কর্মস্থলের পদগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তাই শিক্ষকসংকট প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এখনও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে। খুব শিগগির চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রত্যাশী মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ইনডেক্সধারীদের আগে আবেদন সম্পন্ন করে তারপর নতুন প্রার্থীদের আবেদন নেয়া উচিত। এতে ইনডেক্সধারী ও নতুন প্রার্থী- দুই পক্ষই সমানভাবে উপকৃত হবে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদও শূন্য থাকবে না।’

শান্ত আহমেদ নামের আরেক নিয়োগপ্রত্যাশী বলেন, ‘ইনডেক্সধারীদের বিষয়ে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকসংকট নিরসন করা সম্ভব নয়। এতে নতুন নিয়োগপ্রত্যাশী একদিকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেন, ‘হ্যাঁ, ইনডেক্সধারীরা নিয়োগ পাচ্ছেন, এটা ঠিক। এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নেই। আবেদনেই এ সুযোগ আছে।’

তিনি আরও বলেন, বিসিএসে এক ক্যাডার থেকে অন্য ক্যাডারে যেতে হলে নিয়োগ নিয়েই যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

তবে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়।

আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদন-প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফল এতদিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি।

মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর