জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-’১৬ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফল পরিবর্তনের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এর আগে গত ১১ আগস্ট একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফল গত ২০ জুলাই প্রকাশিত হয়। এতে ৭২ শতাংশ কৃতকার্য হয়। এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সশরীরে পরীক্ষা দিয়েও অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর চতুর্থ বর্ষের ১০টি কোর্সের মধ্যে নয়টিতে প্রথম শ্রেণী পেলেও তুলনামূলক সহজ বিষয় যেমন- সাংগঠনিক আচরণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যেটি খুবই হতাশাজনক এবং একই সঙ্গে লজ্জার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এই ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ্রহণ করেছে। কিন্তু আশানুরূপ ফল আসেনি বরং শিক্ষকরা দায়সারাভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য খারাপ ফল এসেছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গাছা-পূবাইল) আহসানুল হক নিউজবাংলাকে জানান, প্রকাশিত ফল নিয়ে সকাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শ’ শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগেও তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্মারকলিপি অথবা ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং ফলাফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করে বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।