এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মঙ্গলবার নিজস্ব ওয়েবপেজে এ নির্দেশনা দেয়। যা সকল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
নির্দেশনা অনুসারে, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুসারে প্রত্যেক বিষয়ের যেকোনো দুটি ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা তৈরি করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও তাদের নৈর্বাচনিক বিষয়ের প্রতিটি পত্রের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে দেয়া ব্যবহারিকের দুটি করে খাতা তৈরি করে জমা দিতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড জানায়, করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে সেসব বিষয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে কী কী ব্যবহারিক করতে হবে তা উল্লেখ আছে।
যেহেতু এ বছর পরীক্ষার্থীদের শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেহেতু নৈর্বাচনিক বিষয়ের ব্যবহারিকের খাতা (নোট বুক) জমা নেয়া প্রয়োজন।
বোর্ড আরও বলছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে প্রতিপত্রে দুটির বেশি ব্যবহারিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে থাকে, তাহলেও শিক্ষার্থী ওইসব ব্যবহারিক খাতা বা নোট বুক জমা দিতে পারবে।
এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, করোনা পরিস্থিতি কমে এলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এসএসসি ও এইচএসসিতে মূল্যায়ন হবে গ্রুপভিত্তিক। বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শেষ করা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস।
তিনি বলেন, ‘যদি পরীক্ষা না নিতে পারি তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট এবং সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হবে।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।