মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। মাদ্রাসা খুলে দিলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কোরআন-হাদিস ও ইসলামি জ্ঞানচর্চার বরকতে দেশ ও জাতি করোনার তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাবুনগরী এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘সরকার ১১ আগস্ট থেকে অফিস, হাটবাজার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালুর অনুমতি দিয়েছে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহন খুলে দিয়েছে। এ ছাড়া ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার অনুমতির পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে সব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা বাস্তবসম্মত ও জনচাহিদার প্রতিফলন হিসেবে দেখছি।’
এ পরিস্থিতিতে ছুটি আর দীর্ঘায়িত না করে অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা আজ দিশেহারা। বই-পুস্তকের সঙ্গে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেমন ব্যাপক ফারাক তৈরি হয়েছে, তেমনি কিশোর বয়সের শিক্ষার্থীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা সময় পার করছে মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অহেতুক আড্ডা দিয়ে।
‘শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলা, বেড়ানো, হাটবাজার ও শপিংমলে যেতে কোনো বাধা নেই। গণপরিবহনে সরকারি বিধিনিষেধ নেই। অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় যারা কাজ করে তারা প্রতিদিনই তাদের অভিভাবকদের সংস্পর্শে আসছে। সবকিছু উন্মুক্ত রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা নেই।’
বাবুনগরী দাবি করেন, ‘মাদ্রাসা খুলে দিলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কোরআন-হাদিস ও ইসলামি জ্ঞানচর্চার বরকতে দেশ ও জাতি করোনার তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসা খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিল। এই আট মাস কোনো মাদ্রাসায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার নজির ছিল না। এই ইতিবাচক অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, শুধু মাদ্রাসা নয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা বাস্তবসম্মত নয়।’