জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক।
তিনি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব অন্যায়ভাবে বাতিল করলেও তিনি মুচলেকা দেননি। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার রাতে জবি আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
আলোচনায় এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আজকের দিনেও অনেক শিক্ষার্থী পথভ্রষ্ট হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কীভাবে এ সকল অপশক্তির সাথে জড়িয়ে পড়ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।
‘স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে ও চর্চা করলে এ প্রজন্ম অপশক্তির কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে এবং দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।’
ভার্চুয়াল এ আলোচনা সঞ্চালনা করেন জবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।
এতে কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষকদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাবোধ ছিল। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধুর সঠিক জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে চান না। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না।’
ওই সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঠিক জীবনাদর্শন জেনে, নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার আদর্শ ধারণ ও লালন করে দেশ গঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান, বিজ্ঞান অনুষদের ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অনেকেই ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।