বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাড় নয়, চাকরির বয়সসীমা ৩২ করার দাবি

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২১ ২১:৩৫

শিক্ষার্থী তারেক হোসেন রিপন বলেন, ‘২১ মাস যে ব্যাকডেটের কথা বলা হচ্ছে এর মধ্যে ১৭ মাস ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। চাকরিতে আবেদনের বয়স স্থায়ীভাবে দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করলে সবাই তাদের হারিয়ে যাওয়া দুই বছর সময় ফিরে পাবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সরকারি চাকরিতে যাদের আবেদন করার বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হচ্ছে তাদের জন্য ২১ মাস ছাড় দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে এটিকে বৈষম্যমূলক দাবি করে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছেন একদল চাকরি প্রত্যাশী।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। একই সঙ্গে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩২ করা না হলে ২১ আগস্টের পর থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তানভির হোসেন, মারজিয়া মুন, মানিক রিপন ও ওমর ফারুক।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারেক হোসেন রিপন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় বয়সজনিত ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি একটি শুভ ইঙ্গিত। তবে ব্যাকডেট দেয়া বা বয়স সমন্বয়ের মাধ্যমে সব বয়সী চাকরি প্রত্যাশীদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা শুধু ৩০ বছর অতিক্রম করে যাওয়া চাকরি প্রত্যাশীদেরই ক্ষতি করেনি, বরং সব বয়সীদের ক্ষতি করেছে। যে ছেলে-মেয়েরা গত দেড় বছর ধরে অনার্স বা মাস্টার্স পর্যায়ে আটকে আছে, তারাও সামনে ভুক্তভোগী হবেন। কেননা তারাও তাদের বয়স থেকে দুটি বছর হারিয়ে ফেলেছেন, যার কোনো ক্ষতিপূরণ ব্যাকডেট প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না।

‘অন্যদিকে ২১ মাস যে ব্যাকডেটের কথা বলা হচ্ছে, এর মধ্যে ১৭ মাস ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। চাকরিতে আবেদনের বয়স স্থায়ীভাবে দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করলে সবাই তাদের হারিয়ে যাওয়া দুই বছর সময় ফিরে পাবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়। তখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এখন গড় আয়ু ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। ২০১১ সালে অবসরে যাওয়ার বয়স যেহেতু দুই বছর বাড়ানো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে চাকরিতে ঢোকার বয়স দুই বছর বাড়ালে সেটিও আর সাংঘর্ষিক হয় না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত যুব প্রজন্ম কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাল-ডাল বা অর্থসাহায্য প্রত্যাশা করছে না। চাকরি প্রাপ্তির দাবি বা বেকার ভাতা চাইছে না। মহামারির প্রকোপে জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া দুটি বছর ‘৩২’ এর মাধ্যমে ফিরে পেলে সবাই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগটুকু অন্তত পাবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারজিয়া মুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতি ছিল বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনা জীবনের যে সময় কেড়ে নিচ্ছে এর চেয়ে বড় বাস্তবতা আর কী হতে পারে!

‘মুজিববর্ষের ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে উপহার হিসেবে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।

‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ চাই’ দাবিকে কেন্দ্র করে ‘চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্মের’ ব্যানারে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা।

এই দাবিতে ইতোমধ্যে তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব (জনপ্রশাসন), মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি ও খোলা চিঠি দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর