দুধ ও মদ সম্পর্কিত বহুল প্রচলিত কৌতুক ফেসবুকে শেয়ার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি আল কাদেরী জয় এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
জোটের নেতারা বলেন, ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। এই ধারা দুটি ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত হানা’ সংক্রান্ত। মানুষের ধর্মীয় অনূভুতি এতই সূক্ষ যে কার কোন বিষয়ে ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করবে সেটা কীভাবে নির্ধারিত হবে বা সেটা কে ঠিক করবে, এই আইনে সে সম্পর্কে কোনো কিছু বলা হয়নি। তাই এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নেতারা আরও বলেন, এই বিতর্কিত আইনে লেখক মুস্তাককে কারাগারে কার্যত হত্যা করা হয়েছে। ঝুমন দাশসহ শিক্ষক- সাংবাদিক-রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সংবেদনশীল ব্যক্তিবর্গ এবং প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলো। এরকম সময়ে এই আইনে আবারও মামলা দেয়া হলো।
বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে অধ্যাপক কার্জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সবার মুক্তি ও এই আইন বাতিলের দাবি জানান।
এর আগে গত ২ আগস্ট বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
মামলার বিষয়ে গত ৩ আগস্ট অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টটা আমার নিজের না। অন্য জায়গা থেকে শেয়ার করেছি৷ এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এটির জন্য ইতোমধ্যে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। সেখানেই বিষয়টা থেমে যাওয়া উচিত ছিল। এরপরও অসৎ উদ্দেশে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে আমাকে হয়রানি করার জন্য।’