৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফলে যেসব অসংগতি বা অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছে গণবিজ্ঞাপ্তিপ্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও চূড়ান্ত সুপারিশ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরে নিয়োগ কার্যক্ৰমে যেন সংরক্ষিত পদ ও ইনডেক্সমুক্ত হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য এনটিআরসিএর কাছে দাবি জানানো হয়।
পরের গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছর বয়সী প্রার্থীদের যেন প্রাধান্য দেয়া হয়, সে বিষয়টিতে নজর রাখার কথাও বলা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং নন-এমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদন-প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এতদিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।