ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে সভাপতি করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্য হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, নারী কণ্ঠটি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের আর পুরুষ কণ্ঠটি অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর।
তবে অধ্যক্ষ নিউজবাংলাকে বলেছেন, এটি তার কণ্ঠ নয়, ‘সুপার এডিট’ করে এটি ছাড়া হয়েছে।
ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড নিয়ে যা বলছে দুই পক্ষ
ফেসবুকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডে যে নারীকণ্ঠকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বলা হচ্ছে, তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায়। এমনও বলতে শোনা যায়, তিনি একজনকে বিবস্ত্র করে পেটানোর ইচ্ছার কথা বলছেন। এমনও বলেছেন, তিনি অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে ঘুমান। আর তিনি রাজনীতি করে এসেছেন, তিনি ভদ্র কেউ নন।
তবে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার দাবি করেছেন, ওটা তার কণ্ঠ নয়। তাহলে হুবহু মিল কেন?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধিরা ও অভিভাবক ফোরাম এই দুই গ্রুপ
এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে, যার প্রতিফলনই এই অডিও ক্লিপ। এটি সুপার এডিট করা।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শিক্ষা বোর্ড তদন্ত কমিটি গঠন করার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।’
তবে অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সুজন অধ্যক্ষের এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়াতে অধ্যক্ষ এখন এসব কথা বলছেন।’
কলেজ শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘ষড়যন্ত্র যদি করে থাকি, তাহলে ওনার কমপ্লেন করার জন্য জায়গা আছে। সেটার প্রতিদান কি একজন অধ্যক্ষের মুখে এমন ভাষা? সম্পর্ক খারাপের সঙ্গে এমন মুখের ভাষার কী সম্পর্ক, বলেন?’