বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সোহরাওয়ার্দীর রাজা’ এবার রিমান্ডে

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৭:২৩

ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেতে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। এ সময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবি এবং তাকে মারধরের ঘটনায় ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা’ ছাত্রলীগ নেতা আকতারুল করিম রুবেলকে এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আশেক ইমাম এ রিমান্ড আদেশ দেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন আদালতে শাহবাগ থানার নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. বাবুল হোসেন।

রুবেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেতে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। এ সময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বার্ন ইনিস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন এবং তার কয়েকজন সহকর্মী সোমবার সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে বাইরে যাচ্ছিলেন। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করে রুবেল ও তার সহযোগীরা পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুবেল এবং তার সহযোগীরা হাতে থাকা কাঠ ও রড নিয়ে মনির হোসেন ও তার সহকর্মীদের মারতে থাকেন। কিল, ঘুষি ও লাথিতে মারাত্মক জখম করেন। পরে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে হাসপাতাল থেকে অন্য কর্মচারীরা বের হয়ে রুবেলকে ধরতে পারলেও তার সঙ্গে থাকা বাকিরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে রুবেলকে আটক করে।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আকতারুল করিম রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মনির হোসেন চাঁদা দাবি ও হামলা করার অভিযোগে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় আটক হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো কর্মীরই কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রশ্রয় পাবে সেটিরও কোনো সুযোগ নেই। যদি সে অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

অভিযোগ আছে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসায়ীদের চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন রুবেল। পাশাপাশি উদ্যানে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত তিনি।

এ ছাড়া রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর চানখাঁরপুলে পায়ে বাইক তুলে দেয়ার প্রতিবাদ করায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক যুবককে কোমরের বেল্ট খুলে বেদম পেটানোরও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর