‘আজকের ক্লাসে ছাত্রদের এক ভিন্নধর্মী নন-ক্রেডিট অ্যাসাইনমেন্ট দিলাম। তাদের কাজ হলো আশপাশের ভ্যাকসিন সম্পর্কে তেমন জানে না এবং ভালনারেবল জনগোষ্ঠীর অন্তত দুজনকে ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করবে, রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করবে, ভ্যাকসিন কার্ড প্রিন্ট করে দেবে বা প্রিন্ট করার পদ্ধতি বলে দেবে এবং ভ্যাকসিন নেয়ার তারিখসংবলিত এসএমএস এলে ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া তদারকি করবে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এমনি এক অভিনব পন্থায় অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সবুজ।
অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সময় সোমবার শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি জানান তিনি। এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসও পোস্ট করেছেন এই শিক্ষক।
শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সবুজের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার ক্লাসের ৫০ জন অন্তত ১০০ জনকে ভ্যাক্সিন দেয়াতে পারলে সেই ১০০ জন সুরক্ষিত থাকলো। তার চেয়ে বড় কথা, ছাত্ররা তার আশেপাশের মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়ালে একটা ইমিউনিটি বাবলের ভেতরে সে এবং তার পরিবার অবস্থান করবে। তাতে সামান্য হলেও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিরক বিশ্বাস বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমাদেরকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হতে হচ্ছে। বাড়ির আশপাশে অনেকেই আছেন যারা টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সবকিছু জানেন না। অনেকের মাঝে টিকা নিয়ে ভুল ধারণা আছে।
‘আমাদের কাজ হবে এমন মানুষদের টিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে যত দ্রুত পারা যায় তাদের টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা।’
শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে টিকা গ্রহণের আপাতত কোনো বিকল্প নেই। তবে টিকার নিবন্ধন-প্রক্রিয়া নতুন হওয়ায় যারা প্রযুক্তিগতভাবে একটু পিছিয়ে তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে কিছু জটিলতার শিকার হন।
‘আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের এই জটিলতা থেকে মুক্তি দেবার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে গণমানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।’