অনলাইন শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি সময়ের দাবি। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি তাদের অর্জন যাচাইয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, অনলাইন শিক্ষা কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য ওপেন রিসোর্স তৈরি, ব্যবহার এবং অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইউজিসির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে কার্যকর করতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দেশের সব স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি শক্তিশালী ইন্টানেট নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হবে না।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা মহামারি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে অনলাইন শিক্ষা ও ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম কার্যকর করা গেলে এ চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণ আমাদের জন্য সহজ হবে।’
পাঁচদিনের এই কর্মশালায় দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০০ জন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ট্রেজারার ও স্কুল অব বিজনেসের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আজাদ কর্মশালার প্রথমদিন সেশন পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য একই বিষয়ে খুব শিগগিরই আরও একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে যেখানে আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০০ জন শিক্ষক অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও কানাডার ভ্যানকুভারস্থ কমনওয়েলথ এডুকেশনাল মিডিয়া সেন্টার ফর এশিয়ার (সেমকা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচদিনের এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, সেমকার পরিচালক অধ্যাপক ড. মাধু পারহাড় ও সিনিয়র প্রোগাম অফিসার (এডুকেশন) ড. মানস রঞ্জন পানিগ্রাহী। ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।