বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ঢাবি অধ্যাপক কার্জনের পদত্যাগ দাবি

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ২০:২৪

তবে অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন কৌতুকটি শেয়ার করায় এরই মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া উচিত না। আমার পোস্টে যদি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

মদ ও দুধ-সম্পর্কিত বহুল প্রচলিত একটি কৌতুক ফেসবুকে শেয়ার করায় থানায় অভিযোগের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের পদত্যাগ চেয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ।

সংগঠনের দাবি, ওই কৌতুকের কারণে সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

শনিবার বিকালে সংগঠনটির সভাপতি সুমন কুমার রায় উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য ছাড়াও স্মারকলিপির কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমতুল্লাহ, চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন সনাতন ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর অবমাননাকর একটি পোস্ট ফেসবুকে প্রচার করেছেন। এর কারণে বিশ্বের কোটি কোটি সনাতনী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, এই পোস্টের মাধ্যেমে শিক্ষক কার্জন নিম্নরুচি ও চিন্তাশীল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর পোস্টের মাধ্যমে তিনি যথেচ্ছ পরিমাণে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উসকানি, উগ্রতাসম্পন্ন মনোভাব, সর্বোপরি দেশের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর কুরুচিপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

এর কারণে কারণে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, মানুষ গড়ার কারিগরের এমন অভদ্রোচিত মনোভাব কোনভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের সেরা বিদ্যাপীঠের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা আর ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐক্য বজায় রাখা এবং সুন্দর দেশ ও জাতি গঠনে অধ্যাপক কার্জনকে পদত্যাগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধও করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো পর্যবেক্ষণে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এটি লক্ষ্য রাখছেন ‘

প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এটি দুঃখজনক। অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং তার (হাফিজুর রহমান কার্জন) এ সমস্ত মতামতের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই৷ এগুলো তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা প্রত্যাশা করছি ব্যক্তিগতভাবেই এগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করবেন।’

এর আগে একই দিন দুপুরে হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দেন বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক। থানার পুলিশ এটিকে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠিয়েছে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিটের মতামত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তবে অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন কৌতুকটি শেয়ার করায় এরই মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া উচিত না। আমার পোস্টে যদি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

এই অধ্যাপক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি সেই পোস্টটি আমার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দিয়েছি। সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর