নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। ঈদের ছুটিতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের তিন দিনের মধ্যে সব জেলায় পৌঁছে দিতে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম দিনে রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ২৩টি গাড়িতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নিরাপদেই শিক্ষার্থীরা বাড়িতে পৌঁছতে পেরেছেন।
সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিনের মধ্যেই নিজ জেলায় পৌঁছাতে পারলেও রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীদের রাত ১০টা বেজে যায়। রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় তীব্র যানজট থাকায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে বাড়ি পৌঁছেছেন। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানান।
ঠাকুরগাঁও জেলার শিক্ষার্থী আবু জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম থাকায় বাড়িতে আসতে সময় লেগেছে। তবে আমরা খুব খুশি, নিরাপদে আসতে পেরেছি।’
মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থী অনুপম বলেন, ‘ঈদের কারণে রাস্তার অনেক জায়গায় জ্যাম পড়ছে। মৌলভীবাজার পৌঁছতে সাধারণত ৪ ঘণ্টা লাগে। সেখানে জ্যামের কারণে দুই ঘণ্টা বেশি লেগেছে।’
নীলফামারীতে যাওয়া রাকিব হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আমরা খুশি। ঈদের আগেই আমাদের বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষার্থীরা এক গাড়িতে যাত্রা করায় পথের ভোগান্তি বোঝাই যাচ্ছে না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখছি। প্রথম দিনে ২৩টি গাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়েছি। তারা সবাই নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছেছে। রাস্তায় কোনো ধরনের সমস্যার কথা শুনিনি।
‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদে শিক্ষার্থীদের বাসায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছি। এ জন্য আগে থেকেই জেলায় জেলায় প্রশাসনের সাথে কথা বলে রেখেছি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।’
করোনাকালীন ঢাকায় আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে গেছে রংপুরের ৯টি, রাজশাহীর ১০টি ও সিলেট বিভাগের ৪টি বাস। প্রথম দিনে ২৩টি বাসে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী গেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন প্রশাসক আব্দুলাহ আল মাসুদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এবং সোমবার ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য গাড়ি ছেড়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ জানান, রবিবার সকালে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উদ্দেশ্যে ১১ টি বাস ছেড়ে গেছে। পাটুরিয়া রুটে বিআরটিসির দোতলা বাস ৫ টি, মাওয়া রুটে দোতলা বাস ৫ টি এবং একতলা ১ টি বাস ছেড়ে গেছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, 'শুধু রবিবারই মোট শিক্ষার্থী যাচ্ছে ১১৯৬ জন। এদের মধ্যে খুলনা বিভাগে যাচ্ছে ৯০৭ জন শিক্ষার্থী এবং বরিশাল বিভাগে যাচ্ছে ২৮৯ জন শিক্ষার্থী।'