বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লা পরিবারের অন্যরকম উদ্যোগ

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২১ ১৯:০২

কুমিল্লা পরিবারের এমন উদ্যোগে মুগ্ধ ঢাবির শিক্ষার্থীরাও। সাব্বির হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ, কুমিল্লা পরিবার সেখানে অভিবাবকের মতন দায়িত্বটা পালন করল। আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে একটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারল না এই মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন, অথচ দায়িত্বটা তাদেরই ছিল।’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম নিজ জেলার শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরাতে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত কুমিল্লা জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কুমিল্লা পরিবারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বাড়ি ফিরেছেন পরীক্ষা দিতে ঢাকায় এসে আটকে পড়া এ জেলার শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে তিনটি বাস ছেড়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা যাত্রা করেন। দুপুরের দিকে তারা বাড়ি পৌঁছায়।

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদনের পরও কোন সাড়া না পেয়ে নিজ জেলার শিক্ষার্থীদের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি লাঘবে এ উদ্যোগ নেয় ‘কুমিল্লা পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্ল্যাটফর্মটি।

কুমিল্লা পরিবারের এমন উদ্যোগে মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

সাব্বির হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ, কুমিল্লা পরিবার সেখানে অভিবাবকের মতন দায়িত্বটা পালন করল। শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে একটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারল না এই মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন, অথচ দায়িত্বটা তাদেরই ছিল।’

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরানোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সংগঠক জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ঢাকায় পরীক্ষা দিতে এসে অনেক শিক্ষার্থী আটকে পড়ে। বাড়ি ফেরা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল। বিশেষ করে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীও এসেছিল পরীক্ষা দিতে। তখন চিন্তা করেছিলাম একসঙ্গে সবাই মিলে নিরাপদে বাড়ী যাবো। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট কয়েক দফা আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।

‘পরে এগিয়ে আসেন ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কুমিল্লার কৃতী সন্তান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম ভাই। তিনি আমাদের কথা শুনেই রাজি হয়ে যান। আমাদের আশ্বাস দেন, যতগুলো বাস লাগে তিনি দিবেন। আজ শিক্ষার্থীরা এসব বাসে চড়ে নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন। কুমিল্লার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম নিজ জেলার শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরাতে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করেন।

তবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইরা চেয়েছে তাই বাড়ি যেতে তাদের বাস দিয়ে সহায়তা করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর