বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে প্রস্তুত জবি প্রশাসন

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ২৩:০৭

শনিবার প্রথম দিন রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট এই তিনটি বিভাগীয় শহরে বিআরটিসির ভাড়া করা দ্বিতল বাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিবে। রবিবার ও সোমবার বাকি বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কঠোর শাটডাউনে ঢাকায় আটকে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শনিবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার প্রথম দিন রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট এই তিনটি বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস এবং বিআরটিসির ভাড়া করা দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিবে।

রবিবার ও সোমবার বাকি বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো দুইটি পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আবদুল্লাহ্-আল্-মাসুদ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী ও প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের সই করা দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে বাসে ভ্রমণকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাসে ভ্রমণকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া বৈধ পরিচয়পত্র (আইডি) সঙ্গে রাখবেন। যে সব শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড নাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রশিদের কপি বা ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আইডি কার্ড অথবা ভর্তি রশিদের কপি বা ফটোকপি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে যাতায়াতের সুযোগ দেয়া হবে না। বাসে যাতায়াতের সময় যদি কোনো শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো আচরণ করে থাকে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। গাড়ি চালকের সঙ্গে কথাবার্তা ও কোনো ধরনের নির্দেশনা দেয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত গাড়ির রুট পরিবর্তন করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের ভারী বা বড় ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে ধৈৰ্য্য সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী একা ভ্রমণ করবেন। গাড়ি থেকে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে নামার ৫ মিনিট পূর্বে হেলপারকে অবহিত করবেন। জবি ক্যাম্পাস থেকে গাড়ি ছাড়ার পর কোন স্থান থেকে কেউ গাড়িতে উঠতে পারবে না।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ব্যাগ বা মোবাইল নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। ব্যাগ বা মোবাইল হারিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। গাড়ি থেকে নামার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া উপস্থিতি শিট নিজে পূরণ করতে হবে।

শনিবারের বাস শিডিউলের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক আবদুল্লাহ্-আল্-মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শনিবার রংপুর যাচ্ছে বিআরটিসির দ্বিতল ৯টি বাস। একটি অতিরিক্ত একতলা বাস প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবহার করা হবে। একতলা সব বাসই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন। সিলেট যাচ্ছে ৬টি একতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস। রাজশাহী যাচ্ছে ১২টি একতলা নিজস্ব বাস। মোট ২৮টি বাস যাচ্ছে শনিবার।

তিনি আরও বলেন, শুধু শনিবারই মোট শিক্ষার্থী যাচ্ছে ১ হাজার ৫০৭ জন। এর মধ্যে রংপুর যাবে ৭১২ জন, সিলেট ২৯৩ এবং রাজশাহী ৫০২ জন। সচরাচর বাস যেসব রাস্তা দিয়ে যায় সেদিক দিয়েই যাওয়া হবে। অর্থাৎ অন্যান্য সাধারণ গাড়িগুলো, সরকারি গাড়িগুলো বা বিআরটিসির গাড়িগুলো যেই রুটে চলে সেই রুটেই বাস চলে যাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো জায়গায় নেমে যাবে।

শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বিভাগীয় শহরগুলোতে যাবো। কেউ সুবিধাটা পাবে, সেটা বিভিন্ন মাত্রায় পাবে। সবাই যে একেবারে ভালো সুবিধাটা পাবে এমনটা না। এমনিতেই বিআরটিসির বাসের সংকট চলছে। বাস পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।’

স্মারকলিপির রুট প্ল্যানের ব্যাপারে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রুট প্ল্যান অনুযায়ী এটা হবে না। সেটা ৭ দিন দিলেও কয়েকজন মিলেও এই রুট প্ল্যান অনুযায়ী গাড়ি ভাড়া করতে পারবে না। ওইটা ওইভাবে হয় না। ওইভাবে হয় লোকাল টু লোকাল। বিআরটিসির গাড়িগুলো ওইভাবে যায় না। এতো ডিটেইলস করা সম্ভব নয় আমাদের।

অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে সব বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৮ টায় ছেড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার যে জেলার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারবে:

রাজশাহী বিভাগ: টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী।

সিলেট বিভাগ: নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ (ভৈরব), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ।

রংপুর বিভাগ: বগুড়া, নওগাঁ, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, সৈয়দপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম।

রোববার যে জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য:

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর।

খুলনা বিভাগ: মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা।

খুলনা: ফরিদপুর (ডাঙ্গা), নড়াইল, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা।

সোমবার যে সব জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য:

ময়মনসিংহ বিভাগ: গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, কুড়িগ্রাম (রাজিবপুর+রৌমারি)।

চট্রগ্রাম বিভাগ: মুন্সিগঞ্জ (গজারিয়া), চাঁদপুর, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, খাগড়াছড়ি, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে বলে বিশেষভাবে দুটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর