বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যাপক আবদুল মতীনের মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যের শোক

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ১৬:১৬

শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. আবদুল মতীন ছিলেন একজন খ্যাতিমান দার্শনিক ও গবেষক । তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, নম্র ও সজ্জন চরিত্রের অধিকারী। মৌলিক দার্শনিক চিন্তার অধিকারী এই গুণী শিক্ষক দর্শন বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জন্য নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার খোরাক যোগাতেন। দর্শন বিষয়ক অনেক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থসহ তিনি বেশকিছু কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন। দর্শনচর্চা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আবদুল মতীনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই অধ্যাপক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. আবদুল মতীন ছিলেন একজন খ্যাতিমান দার্শনিক ও গবেষক । তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, নম্র ও সজ্জন চরিত্রের অধিকারী। মৌলিক দার্শনিক চিন্তার অধিকারী এই গুণী শিক্ষক দর্শন বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জন্য নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার খোরাক যোগাতেন।

দর্শন বিষয়ক অনেক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থসহ তিনি বেশকিছু কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন। দর্শনচর্চা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অন্য এক শোক বার্তায় অধ্যাপক মতীনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ. কে.এম. হারুন অর রশীদ।

আব্দুল মতীনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও। এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব কান্তি রায় বলেন অধ্যাপক ড. আব্দুল মতীনের মৃত্যুতে মৌলিক দর্শন চর্চার এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সারাজীবন দর্শন চর্চায় তিনি যে প্রজ্ঞা ও নিষ্ঠার ছাপ রেখে গেছেন তা ভবিষ্যতে জাতির চিন্তার মুক্তিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

ড. আবদুল মতীন ১৯৩৪ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ধিতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সনের ১ জুলাই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন।

দর্শন বিভাগে কর্মরত অবস্থায় তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং ১৯৬৮ সনে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।

এছাড়া ড. আবদুল মতীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র ও গোবিন্দদেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০০ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর নেন এবং দর্শন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর