জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য করোনাকালে পরিবহন সার্ভিস চালু, পরীক্ষার ফি মওকুফ ও করোনা টিকা প্রদানের ৩ দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সুমাইয়া সোমা ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম সাকিব।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘বর্তমান করোনাকালে গোটা দেশ যেখানে থমকে গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর অবস্থা সেখানে ভয়াবহ।’
‘গত দেড় বছর ধরে অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় মেস-বাড়ি ভাড়া করে, টিউশন বা খণ্ডকালীন চাকরি করে পড়াশোনার খরচ বহন করছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি চাপিয়ে দিয়েছে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক সম্প্রতি এক অনলাইন পত্রিকায় বেতন ফি মওকুফ করতে অস্বীকৃতি জানান। প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একদল প্রতিনিধি করোনাকালীন বাস সার্ভিস চালু করে বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেয়ার দাবি জানালে প্রশাসন বাসচালকের দক্ষতাকে অজুহাত করে ওই দাবিও মেনে নেয়নি।’
‘সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও দায় এড়িয়ে যাওয়া এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করছি। দাবিগুলো হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। ঈদের ছুটির আগে লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। সব ধরনের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।’
নেতারা বলেন, ‘প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়, তবে তাদের এই দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়া উচিত।’