কঠোর লকডাউনে বাড়ি ফিরতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের কাছে বাস সার্ভিসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক করোনা সংকট মোকাবিলায় কঠোর শাটডাউনসহ নানা কড়া পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়েছে। উৎপাদনশীলতাও মুখ থুবড়ে পড়ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার এই সংকটের বাইরে নয়। যে সব শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা টিউশনি করে নিজের শিক্ষা খরচ বহন করতো এই সংকটে অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে এবং তাদের পরিবারগুলোর অবস্থা নাজুক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী অজপাড়াগাঁয়ের। ঠিকমতো বিদুৎ যেখানে পৌঁছায়নি, সেখানে ইন্টারনেট সেবা বিলাসিতা মাত্র। সে জন্যে অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়াতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকামুখী হয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিউশনি করিয়ে তাদের শিক্ষা খরচসহ পরিবারের ব্যয় বহন করে। সেই তাগিদে তারাও ঢাকায় অবস্থান করে আসছে। এছাড়া সশরীরে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঢাকায় আগে থেকে মেস বাসা ভাড়া করে। কেননা অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সর্বদা আবাসস্থল নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাটডাউন অবস্থায় গ্রামে যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ রুদ্ধ। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিক্ষার্থীরা বাড়ি যেতে উদগ্রীব হয়ে আছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি করে আসছে। কেননা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করলেও এক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুরোপুরি নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস দিয়ে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।