করোনা মহামারির মধ্যে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি ছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ বর্ষের বাজেটে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ কমেছে। এবার বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার টাকা, যা গেল বছরের তুলনায় এক কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ কমেছে।
২০২০-২১ সালে জাবির বাজেটে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
২৭ জুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ বর্ষের ২৬৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় বাজেট পাশ হয়েছে।
বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ৪০ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার টাকা।
বাজেটে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ কমানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘বাজেটে চিকিৎসা খাতে অল্প কিছু টাকা কমানো হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে রিভাইস বাজেটে আবার টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।’
এবার বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ খাতে ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৩৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে পেনশন বাবদ ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রশাসনিক খাত। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এবার গবেষণা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রশাসনিক খাতে বরাদ্দ কমেছে সামান্য। প্রশাসনিক খাতে ২০২১-২২ বর্ষে ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে মোট বাজেটের ১১.৯৬ শতাংশ।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্র আগের তুলনায় আকারে বড় হলেও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। অন্তত বেসিক সরঞ্জাম নিশ্চিত করা উচিত।’
বাজেট বিষয়ে জাবি ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক মাহবুবুল হক রাফা বলেন, ‘করোনার সময়ে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।’
জাবি শাখা ছাত্রইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বাজেটকে প্রশাসনবান্ধব বলে মন্তব্য করেন। চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে আসছে। প্রয়োজনের তুলনায় অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা, শয্যা সংখ্যা কম। মেডিক্যাল সরঞ্জামের ঘাটতিও দীর্ঘদিনের।