বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণমাধ্যমে ‘তথ্য দেয়ায়’ বিভাগীয় শাস্তির মুখে কুবি’র শিক্ষক

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ২২:২১

আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল বলেন, গাফিলতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও  প্রকাশ করতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও মেধা তালিকায় একজনের নাম আসার তথ্য গণমাধ্যমকে দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সিন্ডিকেট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

গণমাধ্যমে তথ্য দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সিন্ডিকেট।

আসক দ্রুততার সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

একই সঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য কেউ প্রকাশ করলে তার সুরক্ষা দেয়ার জন্য ২০১১ সালে সরকারের করা তথ্য প্রকাশ আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আসক।

বুধবার আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাফিলতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন একটি প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ একবারেই অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে ‘অনুপস্থিত শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় ১২তম অবস্থানে আসা’র তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করেছিলেন বলে অভিযোগ করে ২৭জুন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে এ ঘটনায় যাদের গাফিলতিতে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধাতালিকায় চলে আসে, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এটি যেহেতু একটি স্পর্শকাতর বিষয় এবং এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-সম্মান জড়িত, এটা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করবে না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করছে।

আসক বলছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতির বিবেক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারা মানুষ গড়ার কারিগর। সুদক্ষ ও নীতিবান নাগরিক এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। অথচ দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের অভিযোগে এ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের দায়িত্বের প্রতি অবজ্ঞা।’

এ বিভাগের আরো খবর