বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জগন্নাথের শিক্ষক ভাইভা নিলেন মধ্যরাত পর্যন্ত

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ২৩:৩৪

রিভিউ ক্লাস শুরু হওয়া এবং ১০ আগস্ট থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেক শিক্ষকই রাতে ক্লাস নেয়া শুরু করেন। ক্লাসের চাপের কারণে রাতে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা। তবে মধ্য রাত পর্যন্ত ভাইবা নেয়ার ঘটনা ঘটেছে এই প্রথম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন শিক্ষার্থীদের মধ্যরাত পর্যন্ত ভাইভা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার বিকাল ৫টা থেকে ডিজিটাল লজিক ডিজাইন কোর্সের ভাইভা অনলাইনে নেবেন বলে জানান চেয়ারম্যান। এরপর বিকাল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই ভাইভা রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলে তাও সব শিক্ষার্থীর ভাইভা নেয়া শেষ হয়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এতো রাত পর্যন্ত ভাইভা দেয়ার ফলে পরের দিন অন্য কোর্সের প্রেজেন্টেশন, এরপরে ল্যাব রিপোর্ট জমা দেয়া—এসব কিছুই তৈরি করতে পারেননি তারা।

নাম প্রকাশে অনিচছুক এক শিক্ষার্থী জানান, সোমবার বিকাল ৫টা থেকে মধ্যরাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সেমিস্টারের ‘ডিজিটাল লজিক ডিজাইন’ কোর্সের ভাইভা নেন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন।

মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই ভাইভাতে বিভাগের ৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জনের ভাইভা নিতে পেরেছেন তিনি।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বিকেল থেকে প্রায় ৮ ঘণ্টা বসে থেকেও তারা ভাইভা দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও ভাইভাতে আছি। তাই এখন আমি কিছু বলতে রাজি না, শিক্ষার্থীরা চাইছে তাই ভাইভা হয়েছে। যারা ছিল তারা ভাইভা দিয়েছে, যারা ছিল না তারা দেয়নি।’

এর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক রাতে অনলাইন ক্লাস নিয়েছেন। রিভিউ ক্লাস শুরু হওয়া এবং ১০ আগস্ট থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেক শিক্ষকই রাতে ক্লাস নেয়া শুরু করেন।

ক্লাসের চাপের কারণে রাতে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।

তবে মধ্য রাত পর্যন্ত ভাইবা নেয়ার ঘটনা ঘটেছে এই প্রথম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে হইচই পড়ে গেছে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর