উপনিবেশিক আমলে প্রণীত মেডিক্যাল ডিগ্রি ও মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত দুটি আইন বাতিল করতে জাতীয় সংসদে পৃথক বিল উত্থাপন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সেমাবার পৃথক পৃথকভাবে ১৯১৬ সালে প্রণীত ‘মেডিক্যাল ডিগ্রিস অ্যাক্ট’ বাতিল করতে ‘মেডিক্যাল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল-২৯২১’ ও ১৯৬১ সালে প্রণীত ‘মেডিক্যাল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করতে ‘মেডিক্যাল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরে বিল দুটি ৭ দিনের পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল’ সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, মেডিক্যাল ডিগ্রিস অ্যাক্ট একটি সংক্ষিপ্ত আইন যার প্রতিটি ধারা ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর এক বা একাধিক ধারায় সন্নিবেশিত রয়েছে। এ আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অপর্যাপ্ত যা সময়োপযোগী নয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন একটি বিশদ বিস্তৃত আইন যার প্রয়োগিক দিক থেকে অনেক বিস্তৃত এবং সময়োপযোগী।
মন্ত্রীর যুক্তি, আইনটির কার্যকারিতা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন’ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় আইনটি প্রত্যাহার করা আবশ্যক।
‘মেডিক্যাল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৬১ সালে মেডিক্যাল কলেজ (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু কার্যত এই অধ্যাদেশটির তেমন কোনো প্রয়োগ ছিল না। ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশে মেডিক্যাল কলেজগুলো সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল কলেজ অফ বাংলাদেশ এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি ফর দ্য মেডিক্যাল কলেজ অফ বাংলাদেশ গঠন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় হতে এখন পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি কমিটি দ্বারাই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বেসরকারি মেডিক্যাল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং ১৯৬১ সালের মেডিক্যাল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্সের কার্যকারিতা নেই।”